মেজবাহুল হিমেল, রংপুর
রংপুর গংগাচড়ায় উপজেলায় দিন-দুপুরে মাদকের ব্যবসা। গংগাচড়া উপজেলার চত্বরসহ প্রায় সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ফেন্সিডিলের খালি বোতল দেখা যাচ্ছে। আর এই ফেন্সিডিলে আসক্ত হচ্ছে যুব, কিশোর, স্কুল-কলেজের শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। মাদকের করাল গ্রাসে কেউ কেউ লাখ টাকার ব্যবসা ধ্বংস করে সর্বশান্ত, কেউবা জড়িয়েছেন ভয়ংকর অপরাধ চক্রে। পরিবার তছ-নছ হয়ে গেছে কারো।
মাদক এখন গংগাচড়ার অন্যতম প্রধান সমস্যা। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা-ফেন্সিডিল। গংগাচড়া উপজেলার গজঘন্টা চৌদ্দমাথা, জমচওড়া, গাওছোয়া বাজার, ভরসার বাজার, হাজী বাজার, বাগেরহাট, মন্ডলেরহাট, শয়রাবাড়ী, নেংড়া বাজার, চন্দনেরহাটসহ ইউনিয়ন গুলোর বিভিন্ন জায়গায় সহজেই চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা।
বিগত দিনে এত রমরমা মাদক ব্যবসা চোখে না পড়লেও বর্তমানে গংগাচড়ার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পড়ে আছে ফেন্সিডিলের খালি বোতল।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেই রংপুরসহ বিভিন্ন এলাকার শ্রেণি-পেশার মানুষ ছুটছে মাদকের খোঁজে গংগাচড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। একরকম মাদকের আখড়ায় পরিনত হয়েছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল পড়ুয়া এক যুবক বলেন, গংগাচড়ায় ‘সহজেই মিলছে মাদক। যুব সমাজকে নষ্ট করছে এই মাদক। আমরা গংগাচড়ায় বাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্শন করছি। যুব সমাজকে বাচাতে হলে মাদক মুক্ত করতে হবে গংগাচড়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নকে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পানের দোকানদার জানান, প্রতিদিনেই দুপুরের পর থেকে রাত প্রর্যন্ত বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটরসাইকেল যোগে গংগাচড়ায় আসেন বিভিন্ন পেশার মানুষ। বেশি আসেন স্কুল পড়ুয়া ছাত্র। মাথায় হেলমেট পড়ে আসেন তাদেরকে চেনার উপায় থাকে না। এখন তো করোনার সময় তাই মাস্কও পড়ে থাকেন অনেক সময় তাই মুখ চেনা যায় না।
অটো চালক বাতেন বলেন, রংপুর নগরীর বাংলাদেশ ব্যাংকের মোড় থেকে বিভিন্ন সময় ছয়-সাত অটোতে চড়ে গংগাচড়ায় আসেন। দশ-পনেরো মিনিট কোথায় যায় তা জানি না। আবার এসে চা-সিগারেট খেয়ে অন্য অটোতে চড়ে ব্যাংকের মোড়ের দিকে চলে যায এরকম দৃর্ষ প্রায় সময়ে দেখা যায়।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-হাদীর জানান, ‘উপজেলা আইন-শৃংঙ্খলা সভায় গংগাচড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুশান্ত কুমারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেসময় ওসি জানান ধরতে না পারলে কি করবো”। সব সময়ে আমরা মাদকের নিরমুল করার জন্য অভিযান চালাচ্ছি।
চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘উপায় না পেয়ে নিজ উদ্যোগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ৯ বার বিভিন্ন সময়ে ফেন্সিডিল এর প্রায় ৫শ’ বোতলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছি। এই অফিসার যতদিন আছে মাদকের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর জানান, বিষয়টি শুনেছি, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে গংগাচড়া উপজেলাকে মাদক মুক্ত করা হবে। এবিষয়ে জানতে গংগাচড়ার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি।