আল আমি সুমন, রংপুর ২৬ অক্টোবর
স্কুল শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামী রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রাহেনুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরের দিকে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয় । এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে মেঘলা ও সুরভি নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, রংপুর মহানগরীর হারাগাছ থানার ময়নাকুঠি কচুটারি এলাকার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম । পরিচয়ের সময় রাহেনুল তার ডাক নাম রাজু বলে জানান ওই ছাত্রীকে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত তিন দিন আগে ওই ছাত্রীকে ক্যাদারের পুল এলাকার ডা. শহিদুল্লাহ মিয়ার ভাড়াটিয়া মেঘলা বেগমের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে রাহেনুল। পরে গতকাল রোববার ভাড়াটিয়া মেঘলার সহায়তায় আরও দুজন তাকে গণধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে পুলিশ তাকে ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় মেঘলা বেগমকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে আরেক সহযোগী সুরভিকে আটক করা হয়। এছাড়াও অভিযুক্ত রাহেনুলকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় ছাত্রীর পিতা আয়নাল পুলিশ সদস্য রাজুসহ দু’জনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে রাত পৌনে ১২ টায় পুলিশ অসুস্থ ছাত্রীকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের ভর্তি করায়।
এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে তাকে দু’জন ধর্ষণ করেছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রাজু নামের একজন পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছেন তিনি। এএসআই রাহেনুলকে পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি।