রণজিৎ দাস, রংপুর ৩ অক্টোবর
রংপুর নগরীর ৩১ নং ওয়ার্ডের উত্তর শেখপাড়া এলাকায় আদিবাসী উত্তর পাড়া খোকসা ঘাঘট নদীর উপর ২২ বছর ধরে এলাকাবাসী চলাচলের জন্য অর্থ তুলে নদীর উপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে আসছে।
গত কয়েকদিন আগেই প্রচুর বৃষ্টির ফলে পুরো রংপুরেই বন্যা হলে বাঁশের সাঁকোটি ভেঙ্গে যায়। ফলে ঐ এলাকাসহ চারটি এলাকার মানুষের প্রায় চার কিলো পথ ঘুড়ে দর্শনা, মর্ডাণ কিংবা শহরের আসতে হয়। ফলে এলাকার ১৫০টি পরিবার মানবতার জীবন যাপন করছে।
আদিবাসী সুরেন ধাওয়ান, আফছার আলী, আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, সাহেব আলী, মিলন, রহিম মিয়া, নিরঞ্জন ধাওয়ান, গণেশ মিং, রুমী মিং, বাসন্তি লাখড়া,বুদুরু ধাওয়ান বলেন সাঁকো থাকলে ১ কিলো পথ গেলেই মডার্ণে যাওয়া যায়। আমরা এখানে প্রায় ১৫০টি পরিবার আদিবাসী বাস করে আসছি। ২২ বছরের মধ্যে অনেক বার পৌর চেয়ারম্যান এবং বর্তমান মেয়র সাহেবের কাছেও অনেক বার বলেছি।
মেয়র সাহেব শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছেন দ্রুত ব্রীজটি করা হবে কিন্তু আজও সাঁকো করা হয়নি। গত কয়েকদিন আগের ভারী বৃষ্টি ফলে এলাকার মানুষ পানি বন্দী হলে ঘর থেকে বাহির হতে পারেনি ফলে কোন পরিবারকে অনাহারে থাকতে হয়েছে। এমনিতেই আমরা আদিবাসী তবে এ দেশের মুক্তিযুদ্ধেও আমাদের অবদান কম নয়।
আমরা অধিকাংশেই কৃষি কাজ করে জীবন যাপন করছি আপনি সাংবাদিক ভাই আপনার মাধ্যমে মেয়র সাহেবকে জানাতে চাই যে আমরা অনেক কষ্টে আছি। আমাদের দিকে সু-দৃষ্টি দিয়ে দ্রুত খোকসা ঘাঘট নদীর সাঁকোটি অতি জরুরী প্রয়োজন তাই দ্রুত ব্যবস্থা নিবেন।
৩১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কাছে সাঁকোটি ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্টীমেট হয়েছে এবং খুব দ্রুত মেয়র মহোদয় সাঁকোটি নির্মাণে সজাগ রয়েছেন। বন্যার পানি কমে গেলেই রাস্তাসহ সাঁকোটি নির্মাণ করা হবে।