ঢাকার বাইরে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাস সংক্রমন ধরা পড়েছে নারায়নগঞ্জে। জেলাটিকে করোনা মোকাবিলায় ইতোমধ্যে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন। জেলাটিতে আসা-যাওয়া বন্ধ করতে চলছে লকডাউন। কিন্তু এতো কড়াকড়ির মধ্যেই নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে নীলফামারী ও সৈয়দপুরে আসছেন লোকজন। অটোরিক্সা, সিএনজি, ট্রাকে চড়ে এসে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঢুকছেন তারা। এসব লোকজন নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনে অস্বস্তি বিরাজ করছে। স্থানীয়রা সংক্রমিত হওয়ার ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন।
সূত্র অনুযায়ী সৈয়দপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের শত শত লোকজন নারায়নগঞ্জের গার্মেন্টস ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লকডাউনের মধ্যেই এসব শ্রমিকের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ফিরতে শুরু করেছে। অনেকে এসে পৌছেছে। স্থানীয প্রশাসন করোনা মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে থাকলেও নারায়নগঞ্জ ফেরতদের কারণে করোনা নিয়ে নতুন করে সৈয়দপুর সহ নীলফামারী জেলার সর্বত্র আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা বকশীপাড়ার ৩৮ বছরের যুবক মিজানুর রহমান বিটুল নারায়নগঞ্জ থেকে গত ৬এপ্রিল বাড়িতে আসে। পরে ৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় কভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সে নারায়নগঞ্জের চাষাড়ায় সুগন্ধা নামে একটি হোটেলের ম্যানেজারের কাজ করতো। এই সুগন্ধা হোটেলের মালিক সৈয়দপুরের লোক। তার আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে নারায়নগঞ্জে। এসব প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শ্রমিক কর্মচারী সৈয়দপুর উপজেলার। এদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার হবে বলে একটি সূত্রের অভিমত। সূত্রটি আরও জানায় এছাড়াও রোজা নামে একটি বেকারীর মালিকও নীলফামারী সদরের দারোয়ানী টেক্সাইল মিল এলাকার লোক। তার প্রতিষ্ঠানেও দারোয়ানীসহ আশেপাশের প্রায় শতাধিক শ্রমিক কর্মরত। এসব শ্রমিকের প্রায় অর্ধেকের বেশিই ইতোমধ্যে নিজ নিজ বাড়িতে এসে পৌছেছে। যাদের মধ্যে করোনা আক্রান্তের আশংকা খুবই বেশি। তাই এসব লোকজনের উপস্থিতির কারণে এবং তাদের যথাযথভাবে সংখ্যা নিরুপন করে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা না যাওয়ায় করোনা সংক্রমের সমুহ আশংকা দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় সৈয়দপুর সহ নীলফামারীর লোকজনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাসিম আহমেদ জানান, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে সর্বাত্মক সতর্কতার সাথে কাছ করছে। এধরণের লোকজনের খবর পাওয়া মাত্রই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য তিনি সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। যেন সৈয়দপুরের বাইরে থেকে বিশেষ করে ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে যারা এসেছে তাদের খোজ যেন প্রশাসনকে দ্রুত অবগত করেন।
এনপি৭১/মেহি/নীলফামারী