শাহজাহান আলী মনন/ নীলফামারী ৫ জুলাই
নীলফামারীর ডােমারের গােমনাতি ইউনিয়নের পাঙ্গা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া খালাতাে ভাই-বােনর মধ্যে ভাই মনােয়ার হােসেনের (৬) মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
নিখোঁজের ৪৫ ঘন্টা পর ওই নদীর প্রায় দুই কিলামিটার ভাটিতে বামুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বারবিশা গ্রামে ফাদুল তলির ঘাট নামক স্থানে শিশু মনােয়ারের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে এলাকাবাসী। সে গােমনাতি ইউনিয়নের উত্তর গােমনাতি গ্রামের মােঃ সুরুজ্জামানের ছেলে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছে তাঁর খালাতাে বােন মনি আক্তার (৫)।
এলাকাবাসী জানায়, নদীর ওই স্থানে সকালে শিশুর মরদেহ ভাসতে দেখতে পায় দুই কৃষক। খবর পেয়ে পরিবারের লােকজন এসে মরদেহ শনাক্ত করলে বেলা ১০টার দিকে পুলিশ এসে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে গােমনাতি ইউনিয়নের আমবাড়ি হাটের অদূরে পাঙ্গা নদীর একটি ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পারাপার হওয়ার সময় রিকসাভ্যান উল্টে গেলে শিশু মানােয়ার হােসেন ও মনি আক্তার নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়।
মনােয়ার উত্তর গােমনাতি গ্রামের মােঃ সুরুজ্জামানর ছেলে এবং মনি আক্তার জোড়াবাড়ি ইউনিয়নের বিএসসি পাড়া গ্রামের গােলাম রব্বানীর মেয়ে। তাঁরা দুজন খালাতাে ভাই বােন।
সেদিন মনােয়ারের দাদা করিম উদ্দীনের মৃত্যু হলে উত্তর গােমনাতি গ্রামের বাড়িতে তার দাফন শেষে রিকসাভ্যান যােগে নানা ময়নুল হকের সঙ্গে জােরাবাড়ি ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ গ্রামে ফিরছিলেন খালাতাে ভাই-বােন শিশু মনােয়ার এবং মনি। এসময় পথে ওই দূর্ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দমকল বাহিনীর ডুবুরিদল চেষ্টা চালিয়ে তাদেরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়।
ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মােস্তফিজার রহমান বলেন, ‘নিখোঁজ দুই শিশুর মধ্যে রবিবার সকালে মনােয়ার হােসনের মরদহে উদ্ধার হয়েছে। বেলা ১০ টার দিকে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অপর শিশু এখনো নিখোঁজ রয়েছে।