ডেস্ক রিপোর্ট, ঢাকা ১১ই অক্টোবর
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করে ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এছাড়া তাদেরকে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবেও পুনর্বাসিত করা হয়। তাদের বিচার করা হয়নি।
প্রতিমন্ত্রী আজ রোববার (১১ই অক্টোবর) সচিবালয়স্থ তার দফতরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবালের সাথে সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ বিচারহীনতার কারণে বাংলাদেশে একটি সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি। ধর্ষক যারা এ ধরণের অপরাধ করেছিল তারা মন্ত্রিপর্যায়ে পর্যন্ত অধিষ্টিত হয়েছে, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ষকদের বিচার হয়েছে, অপরাধিদের বিচার হয়েছে, খুনিদের বিচার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদের সরকার সকল ধরণের অপরাধিদের ছাড় দেয়নি।
তিনি বলেন, ব্যাংকের টাকা আত্মসাত থেকে শুরু করে যারা ধর্ষণের সাথে জড়িত এবং যারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত আমরা কোন কিছু লুকাইনি, সবকিছু জনসম্মুখে নিয়ে এসেছি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বর্তমান সরকার কোন ছাড় দেয়নি।
খালিদ মাহমুদ বলেন, সরকার অত্যন্ত দৃঢ় ভূমিকায় রয়েছে। যেকোন অপরাধকে আইনের আওতায় এনে বিচারের যখন একটি সংস্কৃতি পুরোপরি গড়ে উঠবে তখন এ ধরণের অপরাধিরা এ ধরণের অপরাধ করতে পিছনের দিকে চলে যাবে। তখন এ বিষয়গুলো আরো স্বস্তিদায়ক হবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধিনস্থ বিভিন্ন অফিসে নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা যুক্ত আছেন, কাজ করে থাকেন। নৌবাহিনী থেকে বিভিন্ন ধরণের সহযোগিতা নিয়ে থাকি। নৌখাতের উন্নয়নে সহযোগিতা করতে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সবসময় সচেষ্ট থাকবে এবং বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন, সেক্ষেত্রে একই ছাতার নিচে সমন্বিতভাবে কাজ করতে চাই।(বাসস)