এনপিনিউজ৭১/নিজেস্ব প্রতিবেদক/ ১৪ এপ্রিল রংপুর
করোন আতক্তে সাধারণ ছুটিতে বন্ধ হয়েছে রেস্টুরেন্ট থেকে দোকনপাট সবকিছুই। এমন পরিস্থিতেই শুধু মানুস নয় বিপাকে পরেছে রাস্তা থেকে বাসার পোষা প্রাণীটিও। রাস্তায় মিলছে না খাবার, মিলছে না দোকানেও। মানুষ দেখলেই দৌড়ে কাছে আসে কুকুর। মানুষতো বটেই প্রাণীরাও যেনো প্রাণহীন নগরে এখন বড্ড হাপিয়ে উটেছে। করোনা সতর্কতায় দেশ জুরে সাধারণ ছুটি। অন্তরিন রংপুর বিভাগ।
জরুরী প্রয়োজনের দোকান বাদে বন্ধ প্রায় সব কিছুই। এতে বিপাকে অবলা প্রাণীগুলো। যেখানে সেখানে ঘুরছে দিশে হারা তবে খাবারের কোজ নেই কোথাও। করোনায় বিপদে পোশা প্রাণীরাও। বন্ধ তাদের খাবারের দোকান। তবে সরকারী নিশেধাক্কায় বেচা বিক্রী নেই একে বারেই। মানুষের জন্য নয়ে মানুষ পাশে দাড়ালো এসব পশুপাখির পাশে দাড়াবে কে?
মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে সংকটে মানুষের অস্তিত্ব। তবে এর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি কুকুর-বিড়ালের মতো অবলা প্রাণীগুলোও। বিশেষ করে অলিগলিতে থাকা বেওয়ারিশ এবং ছিন্নমূল এ প্রাণীগুলো ভুগছে খাদ্য সংকটে। সাধারণত বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে থাকা কুকুরগুলো পরিবেশ থেকে পাওয়া খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান, হোটেল ও বাসাবাড়িতে বেঁচে যাওয়া বা উচ্ছিষ্টই কুকুর-বিড়ালগুলোকে খাদ্য যোগায়। পরিবেশের পাশাপাশি বাসাবাড়িতে উঁকিঝুঁকি মেরে খাবারের সন্ধান করে বিড়াল। এর বাইরে কেউ কেউ নিজ উদ্যোগেও বিভিন্ন ধরনের খাবার দেন এসব প্রাণীকে
তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এক রকম লকডডাউন পরিস্থিতিতে বিপাকেই পড়েছে এসব প্রাণী। বিভিন্ন হোটেলসহ খাবারের দোকান বন্ধ থাকায় পরিবেশ থেকে খাবার পাচ্ছে না প্রাণীগুলো। অন্যদিকে বাসাবাড়ি থেকেও উচ্ছিষ্ট বা বেঁচে যাওয়া খাবার পাচ্ছে না কুকুরগুলো।
এসব প্রাণীর সাহায্যার্থে এখনো কোনো সরকারি সংস্থা এগিয়ে না আসলেও দেলোয়ার হোসেন নামরে এক পথচারি ব্যাক্তিকে দেখা যায়।
এসময় দেলোয়ার হোসেন জানায়, আমি প্রায় সময় এলাকায় কুকুর-বিড়ালকে খাওয়াই। আমরা তো কখনো এ ধরনের পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। এখন তো সবাই সবার নিরাপত্তা নিয়েই বেশি চিন্তিত। মানুষ নিজের খাবার নিজেই তৈরি বা চেয়ে খেতে পারে। কিন্তু অবলা প্রাণীগুলো এসবের কিছুই পারে না। এমনকি চাইতেও পারে না। তাই আমি প্রায় সময় এসব প্রাণীগুলোকে দেখলেই দোকান থেকে রুটি বা বিস্কুট কি এদেরকে খাওয়াই। সবার উচিত এসব অবলা প্রাণীগুলোকে সাহায্যে এগিয়ে আসা।
এনপি৭১/মেহি