এনপিনিউজ৭১/স্টাফ রিপোর্টার/ ৬ জানুয়ারী ২০২০
ঐতিহ্যবাহী রংপুর কারমাইকেল কলেজে অনুষ্ঠিত শতবর্ষ অনুষ্ঠানে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, অতিথি অনুপস্থিতি, খাবার সংকট ও দুর্নীতির সাথে জড়িত শিক্ষকদের সকল প্রকার উন্নয়ন উপ-কমিটি থেকে প্রত্যাহার এবং সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিতে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম ঘোষণা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে জাতীয় ছাত্রসমাজ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) রংপুর কারমাইকেল কলেজ শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাসদ ছাত্রলীগ কলেজ শাখার সভাপতি এহতেশাম জেমী, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বিপ্লব, জাতীয় ছাত্র সমাজের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম, সদস্য সচিব আরিফ আলী, ছাত্রদলের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত লেলিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, রংপুর কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের সকল ভবনে দায়ভাবে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হলেও দ্বিতীয় দিনে সেগুলো খুলে নেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শত শত শিক্ষার্থী খাবার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। নকশা অনুযায়ী গোটা ক্যাম্পাসে ৬টি গেট করার কথা থাকলেও শুধুমাত্র ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে দায়সারাভাবে ককশিট দিয়ে এক গেট করা হয়েছিল, যা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ঢেলে ভেঙ্গে ফেলে।
অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সফল করার লক্ষে ২২টি উপ-কমিটি গঠন করা হলেও প্রাক্তন কোন শিক্ষার্থীকে ওই কমিটিগুলোতে রাখা হয়নি। বক্তারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী রংপুর কারমাইকেল কলেজের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানকে ব্যাপক অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির মাধ্যমে কলঙ্কিত করা হয়েছে। বক্তারা এ সকল অনিয়ম-দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং সকল প্রকার উন্নয়ন উপ-কমিটি থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।
সমাবেশ থেকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে দাবি-দাওয়া পূরণ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা কলেজ অধ্যক্ষ ড. শেখ আনোয়ার হোসেনের কাছে মৌখিকভাবে তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন।
এর আগে কলেজ ক্যাম্পাসে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি গোটা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারে কলেজ যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কমিটি করা উচিৎ ছিল। কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাধ্য-বাধককতার কারণে প্রশাসন ও শিক্ষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর আইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনা তদন্তে আমাকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কাজ চলছে। খুব শিগগির তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।