নিজেস্ব প্রতিবেদক/ রংপুর ৭ জুলাই
রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, পুলিশ, ব্যাংকার, স্বাস্থ্যকর্মী ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীসহ বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ রয়েছেন।
রংপুরে নতুন আক্রান্তদের মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটিআই কর্নারের এক চিকিৎসক (৪২), অপর চিকিৎসক (২৮), এক রোগী (৪০), রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নার্স (৩৪), মেট্রোপলিটন পুলিশের এক পুলিশ সদস্য (৩৫), কোতয়ালী থানার এক পুলিশ সদস্য (৪৬), পুলিশ লাইন্সের এক পুলিশ সদস্য (২১), জেলা পুলিশের এক পুলিশ সদস্য (২৮), হাজিরহাট থানার এক পুলিশ সদস্য (৩৮), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের এক কর্মকর্তা (৪৮), ইসলামী ব্যাংকে কর্মরত এক পুরুষ (৩৮), জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মরত এক পুরুষ (৫৬), নগরীর আমাশু কুকরুলের এক যুবতী (২৫), রাধা বল্লভের এক বৃদ্ধা (৮০), কামারপাড়ার এক নারী (৫৪), নুরপুরের এক যুবতী (১৮), এক নারী (৫৫), শালবন মিস্ত্রিপাড়ার এক পুরুষ (৪৯), দর্শনা আলহাজ্ব নগরের এক পুরুষ (৪৪), সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়ার এক বৃদ্ধ (৬০), এক যুবতী (২৬), দক্ষিণ মুলাটোলের এক শিশু (৮), মিঠাপুকুরের এক পুরুষ (৫৪), গঙ্গাচড়ার এক পুরুষ (৪৮), এক যুবক (২২), পীরগাছার একজন পুরুষ (৩০) রয়েছেন।
এছাড়া লালমনিরহাট কালিগঞ্জের এক পুরুষ (৩৩), আদিতমারীর এক যুবক (২৭), পাটগ্রাম থানার এক পুলিশ সদস্য (৩৯), অপর পুলিশ সদস্য (৩৯), পাটগ্রামের এক নারী (৩৪), হাতিবান্ধা উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত এক পুরুষ (৩৪), কুড়িগ্রাম চিলমারীর এক বৃদ্ধ (৮৫), রৌমারী থানা পুিলশের এক সদস্য (৩৯), রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কিশোর (১৭), এক পুরুষ (৩২), এক নারী (৪০), অপর নারী (৫০), এক যুবতী (২৮), গাইবান্ধা ফুলছড়ি থানার এক পুলিশ সদস্য (৪২), গোবিন্দগঞ্জের এক পুরুষ (৪০) করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন রংপুর মেডিকেল কলেজের (রমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. একেএম নুরুন্নবী লাইজু।
তিনি জানান, রমেকের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের পিসিআর ল্যাবে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে রংপুরে ২৬ জন, কুড়িগ্রামে ৭, লালমনিরহাটে ৬ এবংগাইবান্ধা জেলার ২ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে রমেকের পিসিআর ল্যাব ও রংপুর থেকে ঢাকায় পাঠানো নমুনা পরীক্ষার সবশেষ তথ্য অনুযায়ী রংপুর জেলায় করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ১৩৭ জনে। এদের মধ্যে হাসপাতাল ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭৬৫ জন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯ জন। বর্তমানে হাসপাতাল ও বাড়িতে ৩৫৩ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।