আল আমি সুমন, রংপুর ২৬ অক্টোবর
শারদীয় দুর্গোৎসবে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেবার প্রত্যয়ে প্রায় শতাধিক পূজামণ্ডপ পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন বাংলার চোখ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, তরুণ উদ্যোক্তা ও সফল সংগঠক আলহাজ্ব মোঃ তানবীর হোসেন আশরাফী। গত পাঁচদিনে রংপুর নগরীর ৭৮টি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিভিন্ন পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান প্রদান ও উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।
পরিদর্শনকালে তানবীর হোসেন বলেন, কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা মুসলমানের কাজ নয়। ইসলাম ধর্ম শান্তির বার্তা। অথচ কিছু মানুষের ধর্মীয় অপব্যাখ্যার কারণে আজ মানুষে মানুষে ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে মহান সৃষ্টিকর্তা কাউকে আঘাত করে বা কটাক্ষ করে নতুন কারো উপাসককে কটু করে কোনো মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন, সেখানে আমরা না জেনে বুঝে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করছি।
তানবীর আরও বলেন, আমাদের মধ্যে যে ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধন রয়েছে, তা কোনো দেশে নেই। এই সম্প্রীতির কারণে আমরা বিশ্বে প্রশংসিত। কিন্তু কেউ কেউ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এই সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। বাংলার চোখ সবার মধ্যে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িতে দিতে কাজ করছে।
গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) হতে সোমবার (২৬ অক্টোবর) দুপুর পর্যন্ত রংপুর নগরীর গোয়ালু মন্দির, পূর্ব অভিরাম মন্দির, পশ্চিম গিলাবাড়ি মন্দির, কুকরুল মন্দির, শ্রী শ্রী বুড়ি মা মন্দির, আমাশু কুকুরুল মন্দির, ভুরারঘাট নয়াপাড়া মন্দির, মধ্যপানবাড়ি মন্দির, তাজহাট মন্দির, শিতলা মন্দির, ধর্মসভা রামগোবিন্দ মন্দির, গুপ্তপাড়া মন্দির, শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির বৈরাগিপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার মন্দির পরিদর্শন করেন তানবীর হোসেন আশরাফী।
পরিদর্শনকালে তানবীর হোসেন আশরাফীর সঙ্গে বাংলার চোখের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য দুলাল মিয়া, রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সদস্য সুজন মিয়া, তাজ হাট থানার সদস্য আবুল কালাম আজাদ, নাজিমুদ্দিন সরকার সুমন, আসিকুর রহমান, শ্রীমতি রানী রায়, রীতা রানী রায়, ময়না রানী, গোপাল রায়, সঞ্চয় মহন্ত, কৃষ্ণচন্দ্র রায় ও রংপুর কলেজের সাধারণ সম্পাদক মিন্টু মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।