এনপিনিউজ৭১/নিজেস্ব প্রতিবেদক/ ১৮মে
জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই নিম্ন বিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। তাদের অনেকেরই পিতা কৃষক, দিনমজুর, দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী। একারণে দেশের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধ্যয়নরতদের অধিকাংশই ব্যাক্তিগত টিউশনি করার পাশাপাশি পড়ালেখা করেন। অনেক শিক্ষার্থীই টিউশনির টাকা দিয়েই বেতন সেমিন্টার ফি প্রদান করেন।
সরকারী নির্দেশনায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মানবেতন জীবন যাপন করছে। মানুষ গড়ার কারিগড় শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা। একই সাথে বে-সরকারীর শিক্ষক কর্মচারীদের সরকারী প্রোণদনার আওতায় এনে সহযোগীতার দাবি জানিয়েছেন। সোমবার সকালে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টরে জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে সংবাদ স¤েœলনে এসব দাবি জানান জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
এই নিদারুণ বাস্তবতায় জাতীয় ছাত্র সমাজ সারাদেশের শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। শিক্ষার্থীদের বেতন বা সেমিস্টার ফি মওকুফ এর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিনয়ের সাথে দাবি জানান।
আল মামুন বলেন, করোনাভাইরাসের এই বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের টিউশনিও সঙ্গত কারণেই বন্ধ হয়ে গেছে। একারণে তারা অনেকেই নিজ নিজ স্থানে লকডাউন হয়ে আছেন। কিন্তু তাদের মাসিক বেতন তারা দিতে পারছেন না, বিশেষ করে বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে অনেক অসহায় শিক্ষার্থী তাদের সেমিস্টার ফি দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ঝরে পরার আশংকা করছি। করোনা কালীন সময়ে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেতন মওকুফের দাবি জানাচ্ছি।
মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক দেরকে তাদের এ দুর্দিনে সহায়তা করে শিক্ষিত জাতি গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখতে বিশেষ ভাবে দাবি জানাচ্ছি। সাথে বেসরকারি স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, কর্মচারীদের সরকারি প্রণোদনা এর আওতায় এনে সহযোগিতা করার জন্য ও দাবি জানাচ্ছি।
জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক আল মামুন আর বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার কিংবদন্তি রাজনীতিক, সাবেক রাষ্ট্রপতি জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাতে গড়া সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজ সব সময় ছাত্রদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির মাননীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদের এর সঠিক দিকনির্দেশনায় করোনা পরিস্থিতিতে গ্রামবাংলাকে বাাঁচাতে গ্রামে গ্রামে কীটনাশক স্প্রে, বাড়ি বাড়ি খাবার পৌছানো, ন্যায্য দামে অসহায় কৃষকের সবজি কিনে বিনামুল্যে বিতরণ, অসহায় শিক্ষার্থীদের মেসভাড়া মওকুফের দাবিসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
আমি জাতীয় ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে দাবি জানাই জরুরী ভিত্তিতে সরকার প্রধানকে দেশের বিপুল পরিমান শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বে-সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বা সেমিস্টার ফি মওকুফ ঘোষনা দিতে হবে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট সব শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বেন।
এসময় কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি আরিফুল ইসলাম,যুগাম সাধারণ সম্পাদক সোবাহান মজিব বিদ্যুত, সহ সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আজিজ ড্যানি উপস্থিত ছিলেন।
এনপি৭১