এনপিনিউজ৭১ / প্রেস বিজ্ঞপ্তি/ ৫ মে
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ নূন্যতম ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সরকারী উদ্যোগে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়ের দাবিতে গত ৪ মে ২০২০ বেলা ১২.৩০ টায় কৃষক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে রংপুরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক পলাশ কান্তি নাগ,সদস্য সুভাষ রায়,সবুজ হাসান সাগর,সাইফুল্ল্যা খাঁন প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়-করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে গোটা পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশও বিপর্যস্ত। বর্তমানে শিল্প উৎপাদন বন্ধ,ব্যবসা-বাণিজ্য অচল প্রায়। এই মহামারী শেষে শুরু হবে মহামন্দা। ফলে দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি ক্ষেত্রকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিৎ।
চলতি ইরি-বোরো মৌসুমে দেশে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৩ কোটি ২ লক্ষ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন। অথচ সরকার ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ লক্ষ মেট্রিক টন। সেই ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রেও নানা জটিলতা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে খোদ কৃষকরা এই সুবিধা পায় না বললেই চলে।
সরকারী ক্রয় কেন্দ্রে খোদ কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারে না,ধান ক্রয়ের টাকা লুটপাট হয়। এ অবস্থায় ক্রয় পদ্ধতির পরিবর্তন করে হাটে হাটে ক্রয় কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি মুক্ত পরিবেশে ধান ক্রয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
ইতিমধ্যে যেসব এলাকায় ধান কাটা শেষ হয়েছে সেসব এলাকার কৃষকরা সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজীর কারণে প্রতিমণ ধান ৪০০-৪৫০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
এ সময় শুধুমাত্র রেডিও-টেলিভিশন, পত্র-পত্রিকায় বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে ধান ক্রয়ের ঘোষণা দিলেই চলবে না, অবিলম্বে সরকারীভাবে ধান ক্রয় শুরু না করলে খোদ কৃষকরা এই সুবিধা পাবে না।
স্মারকলিপিতে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কৃষি প্রণোদনার নামে বরাদ্দকৃত ৫ হাজার কোটি টাকা যেন লুটপাট না হয় সেক্ষেত্রে যথাযথ নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে,বিএডিসি’র মাধ্যমে কৃষকদের সার-বীজ ও কীটনাশক সরবরাহ,ক্ষতিগ্রস্থ সবজি চাষীদের ক্ষতিপূরণ,গরীব শ্রমজীবী মানুষ যারা করোনা পরিস্থিতির কারণে বেকার হয়ে পড়েছে তাদের আগামী ৩ মাসের খাদ্য সামগ্রী বিনামূল্যে নিশ্চিত করা এবং অন্ততপক্ষে ১ মাসের খাদ্য সামগ্রী ঘরে ঘরে পৌছে দিয়ে লকডাউন কার্যকর করার দাবি জানান।
এনপি৭১