গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন সামনে রেখে পুরোদমে জমে উঠেছে নির্বাচনি মাঠ। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। ভোটারদের উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চাচ্ছেন এবং ভোটারদের কাছে দোয়া চাচ্ছেন প্রার্থীরা। এছাড়া সভা, খ- মিছিল, পোস্টারিং, মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ চলেছে নানাভাবে প্রচারণা।মূলত মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই পৌর শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় প্রার্থীরা প্রচারণায় নামেন। তবে প্রচারণা জমে উঠতে শুরু করে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর। ওইদিন থেকেই পোস্টারিং, মাইকিং, সভা-সমাবেশ শুরু হয়, যা ইতোমধ্যে পেয়েছে ভিন্ন মাত্রা। ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের পক্ষে আলাপ-আলোচনা ও প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌর এলাকা। পৌরসভা নির্বাচনের ঢেউ লেগেছে এ পৌরসভার পাশ্ববর্তী ইউনিয়নগুলোতেও।সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মো. আব্দুল¬াহ আল মামুন (নৌকা), বিএনপির আবুল খায়ের মো. মশিউর রহমান সবুজ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মো. আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলু (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র দেবাশীষ কুমার সাহা (মোবাইল ফোন), স্বতন্ত্র মো. খয়বর হোসেন মওলা (নারিকেল গাছ), স্বতন্ত্র মো. আল শাহাদৎ হোসেন জিকো (জগ), এনডিপির মো. গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ (সিংহ) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে মাঠে নেমেছেন। পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অংশ নেয়ায় সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য খয়বর হোসেন মওলা ও দেবাশীষ সাহাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।সাধারণত ভোটারদের মাঝে কথা বলে জানা যায় মেয়র পদে পৌরের লোক পরিবর্তন চাচ্ছে। সেই দিক হতে সকালের পছন্দের তালিকায় মাঠ জরিপে এগিয়ে আছে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রশিদ সরকার ডাবলু। ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে সকলের মধ্যে ইতিমধ্যে মনজয় করেছে আব্দুর রশিদ সরকার ডাবলু। পাশাপাশি আওয়ালীগ প্রার্থী আব্দুলল্লা আল মামুন এবং বিদ্রোহী প্রার্থী খয়বর হোসেন মওলা শেষ সময়ে এসে জোড় প্রচারনা করতেছে।। অনেকটাই বলা যায় এখানে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।