এনপিনিউজ৭১/শাহজাহান আলী মনন / ১২ এপ্রিল রংপুর
প্রতি বছরের মত এবারও পালন করা হলো নীলফামারীর সৈয়দপুরের স্থানীয় শহীদ দিবস। প্রজন্ম ‘৭১ এর উদ্যোগে ১২ রবিবার সন্ধায় স্থানীয় শহীদ স্মৃতি অম্লান চত্বরে মোমবাতি প্রোজ্জ্বলনের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আর কোন কর্মসূচি রাখা হয়নি এবার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুরের শহীদদের সন্তানেরাসহ প্রজন্ম ‘৭১ নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির সভাপতি ও সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু, নিজু কুমার আগরওয়ালা প্রমুখ এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে শহীদদের আত্মারমাগফিরাত কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
১২ এপ্রিল সৈয়দপুরবাসীর এক শোকাবহ দিন। মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সৈয়দপুরের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের নির্মম ভাবে হত্যা করে বর্বর পাকিস্তানি বাহিনি।
এর আগে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। চলে সৈয়দপুর সেনানিবাসের কোয়াটার গার্ডে অবর্ণনীয় নির্মম নির্যাতন। সেখানে একই সাথে বন্দি ছিলেন তৎকালিন সাংসদ (এমপিএ) ডা. জিকরুল হক, ডা. শামসুল হক, ডা. বদিউজ্জামান, ডা. এস এম ইয়াকুব, বাবু তুলশিরাম আগরওয়ালা, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালা, যমুনা প্রসাদ কেডিয়াসহ অনেকে। এসব মুক্তিকামী নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের রংপুর সেনানিবাসের অদূরে নিসবেতগঞ্জ বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করে পাকিস্তানি বাহিনি।
দিবসটির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতিবছর সৈয়দপুরে পালন হয় স্থানীয় শহীদ দিবস।
এবার বিশ্ব মহামারী করোনাভাইরাস ঝুঁকির কারণে এ দিবসটি আনুষ্ঠানিক ভাবে পালন না করে শহীদের সন্তানেরা সন্ধ্যায় স্মৃতিঅম্লানে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে শহীদদের সন্তানেরা সহ প্রজন্ম ‘৭১ ও আওয়ামীলীগ ঘরানার বিভিন্ন সংগঠনের নেতা কর্মীরা অংশ গ্রহণ করে এ কর্মসূচিতে। এদেশের মুক্তিদাতাদের স্মরণ করে এবং তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে।
এনপি৭১/মেহি/নীলফামারী