পরে তাকে উদ্ধার করে সৈয়দপুুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে প্রাথমিকভাবে তাকে টিটি ইনজেকশন দেয়া হয়। হাসপাতালে জ্বলাতংক রোগের ইনজেকশন বা ওষুুধ না থাকায় প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে বর্তমানে তিনি শহরের নয়াটোলা মহল্লায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। তিনি ওই মহল্লার মৃত কাইয়ুম আলীর ছেলে।
ডাক্তারের প্রেসক্রাইবকৃত জ্বলাতংক রোগের প্রয়োজনীয় ঢেরোরাস্ক, এআরভি, রাজিপুুর নামের ওষুধগুলো হাসপাতাল বা ফার্মেসীগুলোতে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন তিনি। ফলে চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
সরকারী হাসপাতালে এ ওষুধগুলো না থাকায় কোন কোন ফার্মেসীতে ওষুধ থাকলেও তার দাম সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে এত বেশি দামে ওষুধ কিনে চিকিৎসা করানো হাবিবের পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা।
তিনি বলেন, আমি একজন নিম্ন আয়ের মানুষ। বেশি দামে যেমন ফার্মেসী থেকে জ্বলাতংকের ইনজেকশন কেনার ক্ষমতা আমার নাই। তেমনি জেলা শহরে গিয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার সামর্থ্যও নাই। ফলে বিনা চিকিৎসাতেই থাকতে হবে আমাকে। সরকারিভাবে সৈয়দপুরে ভ্যাকসিন পাওয়া গেলে হয়তো এমনটা হতো না।
সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ আলিমুল বাশার জানান, সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কুকুর বা সাপ কামড়ানো রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ওষুধ বা ইনজেকশন এর বরাদ্দ নেই। প্রয়োজন হলে জেলা সিভিল সার্জন অফিস বা জেলা সদর হাসপাতাল থেকে রোগীকেই সংগ্রহ করতে হবে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন যাবত সৈয়দপুরসহ নীলফামারী জেলায় কুকুর কে ভেকসিনেশন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এতে গুটি কয়েক কুকুরকে প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হয়েছে। এখনও সিংহভাগ কুকুুর ভেকসিনেশনের বাইরে রয়েছে। মালিকানাধীন বা বেওয়ারিশ সকল কুকুরকে এই টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা খুুবই জরুরী । তা না হলে সৈয়দপুুর পৌরসভায় যে হারে কুকুরের সংখ্যা বেড়েছে তাতে পথচলার ক্ষেত্রে জ্বলাতংক রোগধারী কুকুরের আক্রমনের শিকার হয়ে মানুষ প্রয়োজনীয় ওষুধ না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়বে।