অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, ২০১৮ সালে বিশ্বজুড়ে ৯৭ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আলোচিত হত্যাকা-গুলোর মধ্যে ৮৯ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনো বিচার হয়নি।

গত সোমবার (স্থানীয় সময়) মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনের প্রথম দিনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন আর্টিকেল নাইনটিন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। যুক্তরাজ্যের জেনেভাস্থ জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন এতে সহযোগিতা করে। বাংলাদেশ, ব্রাজিল, মাল্টা এবং তুরস্কের সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা এতে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে আর্টিকেল নাইনটিনের নির্বাহী পরিচালক টমাস হিউজ বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে ২০১৭ সালে জাতিসংঘে গৃহীত প্রস্তাবে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি রয়েছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তরফে আরও অনেক কিছু করা দরকার। বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সুরক্ষার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর তরফে একটি সমন্বিত ক্যাম্পেইন করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, যে বা যেসব রাষ্ট্র সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় অথবা এ সংক্রান্ত হামলার বিচারে ব্যর্থতা দেখিয়েছে, সেই সঙ্গে যারা নিয়মিতভাবে এবং পদ্ধতিগতভাবে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সরব হতে হবে।

বাংলাদেশে বিশেষত নারী সাংবাদিকদের লিঙ্গভিত্তিক হুমকির শিকার হওয়ার বিষয়ে অনুষ্ঠানে আলোকপাত করেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি।

তিনি বলেন, দুর্নীতি ইস্যুতে কিংবা চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করা পুরুষদের প্রশ্ন করলে নারী সাংবাদিকদের প্রতি হুমকি বেশি আসে। সাংবাদিকদের জন্য অনলাইন পরিবেশ বিশেষভাবে প্রতিকূল এবং এই পরিসরটিও আইসিটি আইনের বিধিনিষেধ দ্বারা আরও সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। যদিও মিডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততার ব্যাপারে নতুন সরকারের খোলাখুলি একটা অবস্থান আছে। তবে সম্প্রতি হত্যাকা-গুলোর বিচার না হওয়া মানে সাংবাদিকদের জন্য পরিবেশ আরও বেশি বিপজ্জনক। সম্প্রতি সময়ে নিহত হওয়া ৮ সাংবাদিকের মধ্যে একটি মাত্র হত্যার ঘটনায় বিচার হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের কমনওয়েলথ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তারিক আহমদ, তুরস্কের খ্যাতিমান সাংবাদিক পেলিন উনকার, মাল্টার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এন্ড্রু কারুআনা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন