নিজস্ব প্রতিবেদক-
প্রায় এগারো ১২ হাজারের বেশি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেব_দেবীদের মূর্তি_পূজা পার্বণের প্রতিমা_বিসর্জনের জন্য পুকুর খনন ও জনবহুল মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য নিদিষ্ট কবরস্থান
কাজের প্রক্রিয়া শুরু।সরেজমিনে জান যায়, রংপুর মেট্রোপলিশের হাজিরহাট থানাধীন পশ্চিম রাজেন্দ্রপুর পাঁচপীর মাজার সহ পুরো ১১ নং ওয়ার্ডে সরকারি কোনো কবরস্থান নেই। ফলে এলাকার কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার দাফনের জন্য বিড়ম্বনা পড়তে হয়। এছাড়া হিন্দুধর্মের লোকদের পূজা সহ বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা ও প্রতিমা বিসর্জনের জন্য পুকুর না থাকায় প্রতি বছর দূর্গাপুজার সময় তারগঞ্জ যেতে হয়।এতে সড়কপথে দূর্ঘটনাসহ নানাবিধ বিড়ম্বনায় ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর কাশপিয়া তাসরিনের স্বাক্ষরিত স্মারক নং – ০০৫.৫৫_২৩২(১)বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায়, পশ্চিম রাজেন্দ্র পুরের ১ একর ৮৯ শতাংশ অকৃষি খাস জমি ব্যবস্থাপনা ও বন্দোস্ত নীতিমালা অনুযায়ী চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কবরস্থান ও পুকুর খননের নির্দেশ প্রদান করলেও সদর উপজেলার কতিপয় ভূমিদস্যুদের অবৈধ দখল, প্রভাবশালীর অবৈধ বিস্তার ও পুলিশিহয়রানীসহ বিভিন্ন জটিলতায় চলমান কাজটি থমকে যায়।
জেলা প্রশাসনের সরেজমিনের তদন্তে স্পষ্ট উল্লেখ স্বাক্ষরিত স্মারক নং – ০০৫.৫৫_২৩১/১ ও আবেদন নং – সূএঃ০১,০০,১৯ এবং ৪৬/২৭৬ বলা আছে যে, রংপুর সিটি কর্পোরেশনভুক্ত রাজেন্দ্র পুর মৌজার খাস জমি ১ নং খতিয়ান ভুক্ত ১৬৬৭ নং দাগের ০.২৩ একর, ১৬৬৮ নং দাগের ০.২৬ একর, ১৬৬৯ নং দাগের ০.২৬ একর, ১৬৭০ নং দাগের ০.২৮ একর, ২০৩ নং দাগের ০.২০ একর, ২০৪ নং দাগের ০.৩৪ একর, ২০৫ নং দাগের ০.৩২ একর, মোট ১.৮৯ একর দলা শ্রণীর খাস জমি যা রংপুর সিটি কর্পোরেশেনভুক্দ হওয়ায় কৃষি খাস জমি হিসেবে বন্দোবস্তযোগ্য নয়।
স্থানীয় ও প্রশাসন সূএে জানা যায় -জেলা প্রশাসনের গোপনীয় সহকারী খন্দকার মিজানুর রহমান (স্বাক্ষরিত স্মারক নং – ০০৫.৫৫_২৩১(১)/২৭৬)নির্দেশনা সার্বিক পর্যালোচনা করে দেখা যায়,দীর্ঘদিন বিভিন্ন জটিলতায় আটকে থাকার পর বুধবার ( ২২ জুন) দুপুরে ১১ নং ওয়ার্ডে এলাকার গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতার রসিক ১১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুতুর উপস্থিতিতে কবরস্থানে জন্য নির্ধারিত স্থান ও বিশর্জনের জন্য পুকুর খননের কাজ শুরু হতে দেখা যায়।
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ও সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নেতা জনাব তুষার কান্তি মন্ডল বলেন,আজকের এই বাংলাদেশ, পদ্মা সেতু নির্মানের জন্য বর্হিবিশ্বে আমরা গর্বিত জাতিতে পরিণত হয়েছি। বিশ্বের বুকে এক সময় তলাবিহীন ঝুড়ি যারা বলতো, তারাই এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করায় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশীরা এখন মর্যাদাশীল জাতিতে পরিণত হয়েছেন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই। বিশ্ব মোড়লদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতার সফলতা দেখিয়ে চলছেন নিরন্তর। আওয়ামী লীগই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যে দলটি বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের জন্য রাজনীতি করে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজগুলো করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে যতদিন বাংলাদেশ, ততদিনই নিরাপদ এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আমাদের সকলের উচিত শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করা। আজকের এই দিনে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
প্রায় ১১ হাজারের বেশি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দেব_দেবীদের মূর্তি_পূজা পার্বণের প্রতিমা_বিসর্জনের জন্য পুকুর খনন কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,জনকল্যাণমুখী এই পুকুর খনন কাজ টি নিয়ে কিছুদিন আগে পুলিশি হয়রানি সহ প্রশাসনের উপস্থিতিতেই স্থানীয় কাউন্সিলর ও তার সহযোগীদের উপর স্থানীয় কাউন্সিলরসহ তার সহযোগীদের উপর দুর্বৃত্ত কারিনা হামলা করে তারপর হঠাৎ করে এই কাজটি থমকে যায় তবে পূর্বের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে এজন্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের স্পর্শ কাতর বিষয়গুলিতে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের বিশেষ গুরুত্ব সহকারে কাজটি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ কবরস্থান ও পুকুর খনন কাজের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মহানগর হাজিরহাট পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা ও সেতুবন্ধন-এর জন্য তাগিদ দেন তিনি।
অন্যদিকে,সংশ্লিষ্ট ধর্ম ঐক্য পরিষদের সাংগঠনিক নেতারা বলেন,ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের স্পর্শকাতর’ চলমান প্রক্রিয়া কাজটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনসহ সকল ধর্মাবলম্বীদের পারস্পরিক সহযোগিতার বিশেষ প্রয়োজন।
তবে,অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনীর কল্যান সংস্থার কেন্দ্রীয় অর্থ উপদেষ্টা সাবেক সেনাকর্মকর্তা আফজাল সাহেব বলেন,দীর্ঘ অবহেলিত সিটি করপোরেশন গঠনের বর্ধিত ওয়ার্ড গুলোর মধ্যে পশ্চিম রাজেন্দ্রপুর অন্যতম এবং ধর্মীয় সম্প্রদায়ের এই কাজটিতে সকলেই নিজ উদ্যোগে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পারস্পরিক সহযোগিতা করছে বলে ঘটনাস্থলে দেখতে গিয়ে জানতে পেরেছি।
ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীমতি রানী,নারায়ণ চন্দ্র সহ কয়েকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা জানান টানা বর্ষণ ও বন্যায় বৈরী আবহাওয়ায় কর্ম না থাকায় উক্ত পুকুর খনন কাজটিতে তাদের কর্ম মিলেছে। এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দু-বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের পবিএ দেব-দেবীদের মূর্তি পূজাপার্বণের প্রতিমা বিসর্জনের জন্য দূরে যাওয়ার কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে এবং কমবে ভোগান্তিসহ দূর্ঘটনার প্রবনতা।