নিউজ ডেক্সঃ
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাহেন্দ্রক্ষণে রংপুরে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে উচ্ছ্বসিত আওয়ামী লীগের নেতা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ রংপুরবাসী। সবাই সেতু নির্মাণে সাহস দেখানোয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।
শনিবার (২৫ জুন) সকালে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে রংপুর জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পদ্মা বিজয়ের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে রংপুরের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল ওয়াহাব ভূঞা বলেন, বাঙালি এবং বাংলাদেশকে দাবিয়ে রাখা যাবে না; সেই কথার সার্থকতা প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু শুধু সেতুই নয়, এটি একটি স্বপ্নের সফল ও বিস্ময়কর বাস্তবায়ন। প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে দিয়েছেন বাঙালি সব কাজই পারে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার শক্তি এই সেতু। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হব, এটাও এখন খুবই সম্ভব। এসব কথা বলেন তিনি।
একই অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা পরবর্তী পদ্মা সেতুকে গর্বের স্থাপনা উল্লেখ করে রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, পদ্মা সেতু শুধু দক্ষিণের নয়, এটি পুরো বাংলাদেশের। স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের সব থেকে গর্বের স্থাপনা এই সেতু। এটি শুধু দক্ষিণের ২১ জেলাকে যুক্ত করবে তা নয়, বাংলাদেশের পুরো অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবে। আজ এই সেতুর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সারা দেশে অর্থনীতির ব্যাপক পরিবর্তন ঘটবে। আমরা আনন্দিত, গর্বিত পদ্মা সেতু আমাদের সেতু, এটি বাংলাদেশের সেতু।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য, রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহমুদুর রহমান টিটু, রংপুর জেলার পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহম্মেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম প্রমুখ।
এর আগে, সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল ৯টায় রংপুর টাউন হল চত্বর থেকে একটি বর্ণিল আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রায় প্রতীকী পদ্মা সেতু, ঘোড়ার গাড়িসহ শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বানানো ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হয়। শোভাযাত্রা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিলা স্কুল মাঠে গিয়ে শেষ হয়।
মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের পর জিলা স্কুল মাঠের বটতলায় বেলুন উড়িয়ে সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেয় রংপুর জেলা প্রশাসন। পরে উপস্থিত সরকারি, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা, সংগঠন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগতদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একই মাঠে আতশবাজি ফুটিয়ে আনন্দ-উল্লাস ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অন্য দিকে পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে নগরীতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে রংপুর সিটি কর্পোরেশন। রংপুর জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত বর্ণাঢ্য কর্মসূচি সফল করার লক্ষে এবং কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার লক্ষে এই র্যালির আয়োজন করে রংপুর সিটি কর্পোরেশন
Leave a Reply