নিউজ ডেক্সঃ
রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় করোনা কোভিড-১৯ এর প্রথম ডোজের টিকা পেল নগরবাসী। করোনা ভাইরাসের সংক্রমন রোধে প্রতিরোধক হিসেবে সারাদেশে চলছে টিকাদান কর্মসূচী।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) দিনব্যাপি রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের টিকা প্রদান সম্পন্ন করা হয়েছে। মহানগরীর ৩৩টি ওয়ার্ড’র ১৬৫টি কেন্দ্রে দেড় লাখ নগর বাসীকে একযোগে কোভিড-১৯’র ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে ১৮টি ভ্রাম্যমান টিম এর মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের টিকা প্রদান করা হয়েছে। সারাদেশে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের টিকা প্রদানের লক্ষে বর্তমান সরকার ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে এবং রসিক মেযর মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নিদের্শক্রমে এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন রসিক স্বাস্থ্য বিভাগ। উক্ত
টিকাদান কর্মসূচী পরিদর্শন করেন রসিক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও রংপুর জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমীন মিঞা, ডাঃ কামরুজ্জামান ইবনে তাজ, ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ, রসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ এর প্রধান কর্মকর্তা ও স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল কাইয়ুম, মেয়রের ব্যাক্তিগত সহকারী হরকাতুল জিহাদ মুন্সীসহ স্ব-স্ব ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
টিকাদান কর্মসূচী পরিদর্শন কালে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান বলেন, রংপুর মহানগরীর প্রত্যেকটি স্থানে সুন্দরভাবে টিকাদান কর্মসূচী চলছে। সরকার যে উদ্যেশ্যে টিকাদান কর্মসূচী হাতে নিয়েছে আমার মনে হয় তা বাস্তবায়ন হয়েছে। মানুষের আগ্রহ চোখে পড়ার মত ছিলো। রসিক সূত্রে জানা যায়, শনিবার নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ৫টি করে কেন্দ্রের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের টিকা প্রদানে উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল।
এর আগে শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের মসজিদে এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উদ্যোগে মাইক যোগে প্রচারনা করা হয়েছে। এছাড়াও রসিকের ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক প্রচারনা চালানো হয়েছে। কোভিড-১৯’র ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের টিকা প্রদান কর্মসুচি সফল করার লক্ষ্যে প্রায় ১১১৫ জন স্বাস্থ্য কর্মী,স্কাইটস,রোভার স্কাউটস, সুপারভাইজার ও স্বেচ্চাসেবকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছিলো। রসিক এর ৩৩টি ওয়ার্ডের ১৬৫টি কেন্দ্রে সুপারভাইজার ১৩৩জন, টিকা পুশিং ম্যান ৩৬৬জন, স্বেচ্ছাসেবক ৫৪৯জন ও মোবিলাইজেশন কর্মী ৯৯জন এর মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।