নিউজ ডেক্সঃ
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে চতুর্থ অবস্থানে থাকা আওয়ামীলীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়ার বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে নাগরিক সেবা নির্ভর সিটি করপোরেশন বিনির্মানে সহযোগিতা চাইলেন বিজয়ী মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
বৃহস্পতিবার ( ২৯ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে তিনটায় মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ডালিয়ার গুপ্তপাড়ার বাসভবনে যান। সেখানে তাকে স্বাগত জানান হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া এবং তার পুত্র শেখর। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রী সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি আব্দুর রাজ্জাক, হারাগাছ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল করিম রেজা, তাজহাট থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি এমাদ উদ্দিন, জাতীয় ছাত্র সমাজের রংপুর জেলা সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারি আবুল কাশেম প্রমুখ।
সেখানে গিয়ে মোস্তফা ডালিয়ার হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে ডালিয়ার পক্ষ থেকে মেয়র মোস্তফাকে খেজুর, বিস্কিট, আপেল কমলা ও চা দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। এসময় নির্বাচনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগামীতে সিটি করপোরেশন পরিচালনায় ডালিয়ার পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করেন মোস্তফা।
এ প্রসঙ্গে নব নির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ভোটের ফলাফল যাই হোক না কেন। এ্যডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া সাবেক মহিলা এমপি, একজন বিজ্ঞ আইনজীবি, সুশিক্ষিত এবং আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং আমার গুরুজন। সেকারণে আমি তার বাসায় গিয়ে তার সাথে কুশল বিনিময় করেছি। তিনি অত্যন্ত আন্তরিকভাবে আমাকে গ্রহন করেছেন এবং আপ্যায়ন করেছেন। আমি একটি নাগরিক সেবা বান্ধব সিটি করপোরেশন গড়ে তুলতে চাই। সেক্ষেত্রে আমি তার সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহুেযাগিতা চেয়েছি। তিনি আমাকে আশ্বস্থ করেছেন। আমি মনে করি গুনি মানুষের পরামর্শ ও সহযোগিতায় আমি আরও সম্মৃদ্ধ হয়ে করপোরেশন পরিচালনা করেত পারবো।
এ ব্যপারে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, মোস্তফা এসেছিল। সে আমার পুর্ব পরিচিত এবং নাগরিক বান্ধব মানুষ। সে আমার সহযোগিতা ও দোয়া চেয়েছে। যে কোন সময় যে কোন বিষয়ে যে যদি আমার পরামর্শ ও সহযোগিতা চায় সেটা আমি তাকে করবো। আমি তার উন্নতি কামনা করি।
মঙ্গলবার ( ২৭ ডিসেম্বর) রংপুর সিটি করপোরেশন তৃতীয় মেয়াদের নির্বাচনে আবারও রেকর্ড জয়ে বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতিকের প্রার্থী মোস্তফাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বির চেয়ে ৯৬ হাজার ৯০৭ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হলেন। ২০১৭ সালে তিনি ৯৮ হাজার ২৮৭ ভোট পেয়ে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তখন ভোট পড়েছির ৭৪ দশমিক ২৩ শতাংশ। যদিও এবার নির্বাচনে মোস্তফার চেয়ে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৯ ভোট কম পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে গেছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। এবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল। ডালিয়াসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৭ প্রার্থী হারিয়েছেন জামানত। নিয়ম অনুযায়ী জামানতের টাকা ফেরত দিতে হবে। এবারের ভোটে বিজয়ী মোস্তফার বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বি ৮ প্রার্থী মিলে পেয়েছেন মোট প্রদত্ব ভোটের ৪৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৫ ভোট। আর বিজয়ী প্রার্থী মোস্তফা একাই পেয়েছেন ৫২ দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোট।
Leave a Reply