নিউজ ডেক্সঃ
লালমনিরহাট-১ আসনে এরশাদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রাঙা বলেন, আমাকে এরশাদ সাহেব বললেন তুমি লালমনিরহাটে গিয়ে আমারটা (মনোনয়নপত্র) সাবমিট করে দিয়ে আসো। আমি সাবমিট করতে গিয়ে দেখলাম উনার (মোতাহার) লোকজনই সব। আমাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তবুও আমি জমা দেই।
এ সময় স্পিকার জানতে চান তিনি কোন সালের কথা? তিনি জবাবে বলেন, এটা ২০১৪ সালের ঘটনা। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে পরাজিত করে উনি সংসদে এসেছেন এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। আপনি এটা অ্যাক্সপাঞ্চ করে দেবেন।
পরে পয়েন্ট অব অর্ডারে ফিরোজ রশীদ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি আমাদের মাঝে নেই। একজন মৃত্যু ব্যক্তির নামে এ ধরনের কুৎসা রটনা উচিত নয়। মোতাহার সাহেবের ভালো করে জানা উচিত এরশাদ সাহেব রংপুরের মাটিতে কোনো দিনও হারেননি। তিনি কারাগারে থেকে ৫টি আসনে জয়লাভ করেছেন। ২২টি আসনে একা প্রার্থী হলে সবগুলোতে জয়ী হতেন। তিনি কারাগারে থেকে দুইবার ৫টি করে আসনে জয়ী হয়েছেন।
মোতাহার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে ফিরোজ রশীদ বলেন, উনি এতবড় বীর বিক্রম হয়ে গেল? এরশাদ সাহেবের জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। যে নির্বাচনে এরশাদ সাহেব দাঁড়ায়ইনি। এমনকি তার কোনো প্রার্থীকে দাঁড়াতে দেননি। আমাকে দিয়ে উইড্রো করালেন পরে দামি দাঁড়িয়েছি। এটা সম্পূর্ণ অ্যাক্সপাঞ্চ চাই। আমাদের দাবি এটা অ্যাক্সপাঞ্জ করবেন। না হলে রংপুরের মাটিতে তার অসুবিধা হবে।
পরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ ইস্যুতে রুলিং দেন। তিনি বলেন, মাননীয় সদস্য জনাব মোতাহার হোসেনের বক্তব্যে যদি কোনো তথ্যগত ত্রুটি থাকে থেকে থাকে তাহলে সেটা বিবেচনা করে তা পরীক্ষা করে অ্যাক্সপাঞ্জ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।