নিউজ ডেক্সঃ
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে ২ দিন ধরে অনশন করছে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরী। একই স্কুলে পড়াশুনা ও এক সাথে যাতায়াতের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেম ভালবাসার সৃষ্টি হয়। গত দুই বছর যাবৎ ভালবাসা চলে আসছে। রংপুর নগরীর ৩১নং ওয়ার্ডের নাজিরদিগর বনগ্রামের অটো চালক বাহারুল ইসলামের ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যা ও প্রেমিক একই এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, একই স্কুলে পড়াশুনার সুবাদে একই সাথে যাতায়াত করে আসছিল তারা। সেই সূত্র ধরেই উভয়ের মধ্যে গত ২ বছর যাবৎ প্রেম ভালবাসা চলছিল।
গত কয়েকদিন ধরে তারা নিজেরা পরিবারের অজান্তেই বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু বিষয়টি জানা জানি হলে প্রেমিক প্রেমিকাকে নিয়ে নিজ বাড়িতে উঠে পরে ঘরের দরজা বন্ধ করে থাকে। ছেলের অভিভাবকরা বিষয়টি দেখে ফেলায় মেয়েকে মারধর ও গালমন্দ দিয়ে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। অনেক চেষ্টা করেও বের করতে পারেনি। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর, এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিরা পুলিশের সহায়তা চাইলে উভয় পরিবারকে পুলিশ থানায় ডেকে নেয়।
ছেলে ও মেয়ের বয়স কম হওয়ায় তাদের উভয় পরিবারের মাঝে সমঝোতা করে একটি লিখিত আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য রসিক প্যানেল মেয়র সামছুল ইসলামকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু ছেলেপক্ষ রাগারাগি করে সেই সমঝোতা মেনে না নিয়ে চলে যান। পরবর্তীতে প্রেমিকা আবারও ছেলের বাড়ির প্রধান ফটকে গিয়ে অনশনে শুরু করে। এসময় তাকে বেশ ক’জন মহিলা ও পুরুষ মিলে অকথ্য গালিগালাজ ও মারধর করে তাড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। আহত অবস্থায়ও সে অনড় থাকে। তবে প্রেমিকার অনশনে যোগ দেয়ার পরেই প্রেমিক উধাও লাপাত্তা রয়েছে।
এ বিষয়ে প্যানেল মেয়র সামছুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করলেও ছেলেপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। নারী ও শিশু বিষয় হেতু আমি আইনের লোকের সহায়তা চাই।
অন্যদিকে, মেয়ের বাবা অটো চালক বলেন, আমি গরিব মানুষ। আর ছেলেপক্ষ প্রভাবশালী। আমি আইন ও স্থানীয় গণ্যমান্যসহ অনেকের সহায়তায় বিষয়টি সুরাহার কামনা করেছি। এতেও যদি কোন কিনারা না হয়। তবে আমি মামলায় যাবো। এদিকে ছেলেপক্ষের কেউই সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে নারাজ।
তাজহাট মেট্রো থানার ওসি নাজমুল কাদের জানান, আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। কেউ অভিযোগ বা এজাহার করেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।