বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম :
প্রধানমন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদের ভিজিটিং কার্ড চেয়ে নিয়েছেন মার্কিট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রী। লালমনিরহাটে এক সাথে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। পীরগাছায় হাসুয়ার কোপে খালুর মাথা বিচ্ছিন্ন করল ভাগনে! প্রথমে মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন,অতপর রংপুরে তাজহাট থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৩ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার রংপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দাম কমলে ডিম সেদ্ধ করে ফ্রিজে রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী যে দলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলেন হিরো আলম সংবাদ সম্মেলনে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো রসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রংপুর মহানগর জাতীয় যুব সংহতির বিক্ষোভ মিছিল
তিন বান্ধবীর পেছনেই ৭০০ কোটি টাকা খরচ পিকে হালদারের!

তিন বান্ধবীর পেছনেই ৭০০ কোটি টাকা খরচ পিকে হালদারের!

নিউজ ডেক্সঃ
দেশের আর্থিক খাতে আলোচিত নাম প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদার ৪০টির বেশি নাম সর্বস্ব এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা লোপাটের পাশাপাশি ঋণ পাইয়ে দেয়ার নাম করে আরও আড়াইশ’ কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্র এই হিসাবে পাশাপাশি আরও জানা গেছে যে, পি কে সব মিলিয়ে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১০ হাজার দুশ’ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এসব টাকার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করেছেন বলে তথ্য আছে দুদকের কাছে।

এসব লোপাটের টাকা দিয়ে পি কে হালদার একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছেন। অর্থ লোপাটে পটু পি কে হালদার টাকা দিয়ে নারীদের ঘনিষ্ঠও হতেও ছিলেন সিদ্ধহস্ত। শুধুমাত্র বান্ধবীদের কারণেই পিকে হালদার সাত থেকে আটশ’ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এর মধ্যে গ্রেপ্তার তাঁর তিন বান্ধবীর জবানিতে মিলছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই তিন নারীকে বিলাসী জীবনে আকৃষ্ট করে তাঁদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতেন পি কে। বিনিময়ে তাঁদের কাউকে ফ্ল্যাট, গাড়ি, দামি উপহার ও অর্থ দিয়েছেন।

অসংখ্যবার তাদেরকে নিয়ে গেছেন বিদেশ ভ্রমণে। তাঁর প্রতিষ্ঠানে দিয়েছেন বড় পদের চাকরি। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যে প্রকারেই হোক, অর্থ লোপাট আর প্রেমিকাদের নিয়ে ভোগ-বিলাসে মত্ত থাকাই ছিলো পি কে হালদারের অন্যমত নেশা। নারী সঙ্গ ছাড়া তিনি বিদেশ যেতেন না।

পি কে হালদারের ঘনিষ্ঠ তিন প্রেমিকা হলেন অবন্তিকা বড়াল, নাহিদা রুনাই ও শুভ্রা রানী ঘোষ। তারা তিন জনেই এখন কারাগারে আছেন। তাঁর আরও প্রেমিকার সন্ধান পাওয়া গেছে। তাঁদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে সর্বদা তাঁর বিত্তবৈভবের প্রয়োজন ছিলো।

এর মধ্যে বান্ধবী নাহিদা রুনাইকে ১৫০ কোটি টাকা খরচ করে উপহার দিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফাস ফাইন্যান্স কোম্পানি। অবন্তিকাকে উপহার দিয়েছেন পিপলস লিজিং। আর এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাচার করেছেন ৩৬ কোটি টাকা।

রুনাই চালাতেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও ফাঁস ফাইন্যান্স লিমিটেড। রুনাইর অসীম ক্ষমতার উৎস ছিল পি কে হালদার। তাই অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। কয়েক বছরে তাঁর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে প্রায় ৭২ কোটির টাকার লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।

নাহিদা রুনাইকে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ দিয়েছিলেন পি কে হালদার। তাকে নিয়ে ভারতে গেছেন ২২ বার। আর সিঙ্গাপুরে গেছেন ২৫ বার। তাঁকে ২০ কোটি টাকা দেয়ার তথ্যও পেয়েছেন দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা।

অন্যদিকে অবন্তিকার কর্তৃত্বে চলত পিপলস লিজিং। তাকে নিয়ে অসংখ্যবার সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ড গেছে পি কে। অবন্তিকাকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে পাঁচ কোটি টাকায় ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে পি কে হালদারের অর্থপাচারের অভিযোগও রয়েছে।

বান্ধবী অনন্দিতাকে রাজধানীর উত্তরায় ৯ তলা বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন। সুস্মিতা সাহাকে দেয়া হয়েছে একশ কোটি টাকার বেনামি ঋণ। পাপিয়া ব্যানার্জিকে দেয়া হয়েছে তিনশ’ কোটি টাকার বেনামি ঋণ। মমতাজকে দেয়া হয়েছে তিনশ কোটি টাকার বেনামি ঋণ।

আর, দুর্নীতির আরেক সহযোগী ও বান্ধবী শুভ্রা রানী ঘোষকে অস্তিত্বহীন কোম্পানি ওয়াকামা ইন্টারন্যাশনালের চেয়ারম্যান করেছেন পি কে। ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৮৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নাহিদা রুনাইকে গত বছরের ১৬ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর, ১৩ জানুয়ারি নিজ ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন অবন্তিকা। শুভ্রা রানী ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয় গত বছরের ২২ মার্চ। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরেছিলেন তিনি।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

© ২০২০-২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | এনপিনিউজ৭১.কম
Developed BY Rafi It Solution