নিজস্ব প্রতিবেদক।।
রাজাপুর উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের চল্লিশ কাহনিয়া গ্রামের মৃত্যু রুমিয়ান ফকিরের ভগ্নিপতি মোঃ ফারুক হোসেন গত ০২ জুন রুমিয়ান ফকিরের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ভক্তবৃন্দ সহ স্থানীয় কতিপয় লোকজন কে দাওয়াত দেয়। সেখানে উপস্থিত লোকদের মধ্যে একপর্যায়ে জামাত শিবিরপন্থী মামুনুর রশীদ নোমানী ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেনকে দাওয়াতে কেন আসছে জিজ্ঞাসা করে তারজন্য দেয়া খাবার প্লেট কেড়ে নেয়,এটা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হওয়ার ঘটনায় সহিংসতার আশংকা দেখা দিলে স্থানীয় জনগন বিষয়টি রাজাপুর থানাপুলিশ কে অবহিত করে। রাজাপুর থানা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।থানা পুলিশের সদস্যগন ঘটনাস্থল ত্যাগকরার পর থেকেই মামুনুর রশীদ নোমানী দেলোয়ার ও তার স্বজনদের কে হামলা করে অঙ্গহানির হুমকি প্রদান করিতে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ০৩ জুন বিকাল আনুমানিক ৩ঃ৪৫ ঘটিকার সময় জামাত শিবিরপন্থী মামুনুর রশীদ নোমানী পরিকল্পিত ভাবে তার দলবলসহ দেশি অস্ত্র- সস্ত্র নিয়ে চল্লিশ কাহনিয়া রুমিয়ান ফকিরের বাড়ির সামনে থেকে দেলোয়ার থেকে যাওয়ার সময় হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে,তখন এ খবর শুনে দেলোয়ারের আত্মীয়স্বজন ও পরচিত লোকজন এগিয়ে আসলে আরো ৫ জনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারামকভাবে জখম করে।
আহতরা হলেনঃ-
১) ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ২) ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সদস্য মোঃ ফেরদৌস (২৫) ৩) মোঃ কালু মোল্লা (৫০) ৪)৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ দুলাল (৪৮) ৫)৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আলম হোসেন (৪৬) ৬) ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মোসাঃ নুপুর আক্তার ইরানি (৪২)।পরবর্তিতে স্থানীয় জনগন এসে দাওয়া দিলে নোমানীগংরা দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং আহতদের কে চিকিৎসার জন্য রাজাপুর স্বাস্থ্য কম্পলেক্স এ নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত ৬ জনের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন, বাকী ০৩ জনকে রাজাপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেন। নোমানীগংদের আক্রমন থেকে আহতদের বাঁচানোর জন্য স্থানীয় জনগন দাওয়া দিলে নোমানীসহ আরো দুই একহন সাধারন জখম হয়।অত্যন্ত চালাক নোমানী নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উল্টো মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার নিজস্ব বলয়ের কয়েকটি অনলাইনে মিথ্যা নিউজ করায়।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,নোমানী এলাকার মানুষের মাঝে বিরোধসৃষ্টিকারী একজন লোক।গত দুইবছরে অন্তত ৮ টি বিশৃঙ্খল ঘটনা ঘটিয়েছে, নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে ভিকটিমদের নিকট থেকে টাকা পয়সা নেয়।স্থানীয় জনগন তার ষড়যন্ত্র ও বিশৃঙ্খলতা থেকে মুক্তি চায়।