বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন

খবরের শিরোনাম :
প্রধানমন্ত্রী তনয়া সায়মা ওয়াজেদের ভিজিটিং কার্ড চেয়ে নিয়েছেন মার্কিট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন: পররাষ্ট্র মন্ত্রী। লালমনিরহাটে এক সাথে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক গৃহবধূ। পীরগাছায় হাসুয়ার কোপে খালুর মাথা বিচ্ছিন্ন করল ভাগনে! প্রথমে মোবাইলে প্রেম, পালিয়ে এসে দেখেন প্রেমিক দৃষ্টিহীন,অতপর রংপুরে তাজহাট থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে ১৩ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতার রংপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের অভিযান ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দাম কমলে ডিম সেদ্ধ করে ফ্রিজে রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী যে দলে যোগ দেওয়ার ঘোষণা দিলেন হিরো আলম সংবাদ সম্মেলনে মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালো রসিকের পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা রংপুর মহানগর জাতীয় যুব সংহতির বিক্ষোভ মিছিল
অর্থের অভাবে রোবটটির পুরোপুরি কাজ শেষ করতে পারেনি লালমনিরহাটের হাবিব

অর্থের অভাবে রোবটটির পুরোপুরি কাজ শেষ করতে পারেনি লালমনিরহাটের হাবিব

নিউজ ডেক্সঃ

রেস্টুরেন্টের সকল কাজ করতে সক্ষম এমন রোবট আবিষ্কার করে এলাকায় হৈ চৈ ফেলেছেন লালমনিরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কলেজছাত্র আহসান হাবিব।

লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলা তুষভান্ডার ইউনিয়নের মানিক বাজার এলাকার মৃত মজু মিয়ার ছেলে। তিনি কালীগঞ্জ করিম উদ্দিন পাবলিক কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক শাখার ছাত্র। দীর্ঘ ২ বছরের গবেষণায় আবিষ্কার এই রোবটটি রেস্টুরেন্টের সব কাজ করতে পারে। শুধু তাই নয়, রোবটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের অনেক মন্ত্রী-এমপির নামও বলতে পারে। এ ছাড়া বাংলা ও ইংরেজিতে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। রোবটটি হাত দিয়ে ভারী জিনিসপত্র বহন করতে এবং হ্যান্ডশেক করতে পারে। জানা গেছে, হাবিব ছোটবেলা থেকেই তথ্য প্রযুক্তির ওপর আসক্ত ছিলেন। নতুন কিছু আবিষ্কারের নেশায় তথ্য প্রযুক্তিতে বেশ মনোযোগী ছিল তার । ২০১৭ সালে তুষভাণ্ডার আর এম এম পি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের খরচে কাঠ দিয়ে একটি রোবট তৈরি করেন হাবিব । যা ওই সময় লালমনিরহাট জেলা বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করে। এতে তার আবিষ্কারের নেশা আরও বেড়ে যায়। ২০১৮ সালে হাবিবের বাবার মৃত্যুতে পরিবারে দারিদ্রতা আরও বেড়ে যায়। তবুও হাল ছাড়েনি হাবিব। লক্ষ্য পূরণে টিউশনি শুরু করেন। সেখান থেকে যা আয় হতো তার একটা অংশ গবেষণা কাজে ব্যয় করতেন। ইউটিউব দেখে রেস্টুরেন্টে কাজ করতে সক্ষম এমন একটি রোবট আবিষ্কারে প্রচেষ্টা শুরু করেন তিনি। এভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে গত সাপ্তাহে রোবটটি আংশিক তৈরী করেন। আর্থিক সংকটের কারণে এখনো রোবটির পুরোপুরি কাজ শেষ করতে পারেননি। রোবটটি সামনের দিকে এবং পিছনের দিকে আশা যাওয়া করতে পারে। এছাড়াও সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। হাবিবের টাকা সংগ্রহ হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে বাংলা দেশের মানুষের কাছে উন্মুক্ত করবে রোবটটি। হাবিবের প্রতিবেশীরা জানান, হাবিব যখন এসব তৈরি করতেন তখন ভেবেছিলাম বাবা-মায়ের কষ্টের টাকা নষ্ট করছে। কিন্তু এখন তাদের ভুল ভেঙেছে। হাবিবের শিক্ষক ইমান আলী বলেন, হাবিবের কাজ দেখে প্রতিবেশীরা তাকে পাগল বলতেন। কিন্তু আজ তারাই হাবিব কে নিয়ে গর্ব করছেন। হাবিব ছোট থেকেই অনেক মেধাবী ছিল। অভাবের কারণে বাইরে পড়াশুনা করতে পারেনি। তার আবিষ্কারে উৎসাহ দিতে বিত্তবান ও সরকারের প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। হাবিব বলেন, সারাবিশ্বের কাছে বাংলাদেশ কে পরিচিত করে দিতেই আমার এই প্রচেষ্টা। আমার এই কাজে সাহস যুগিয়েছে আমার মা ও বড় ভাই। আমার এই রোবটটি রেস্টুরেন্টে কাজ করবে, মানুষের সঙ্গে কথা বলবে, ভারী খাবার পরিবহন ও পরিবেশন করবে। এ ছাড়াও যে কোন প্রশ্নের উত্তর চাইলে বলে দিবে। অর্থের কারনে রোবটটির কাজ পুরোপুরি কাজ শেষ করতে পারিনি। আশা করছি দ্রুত মানুষের কাছে রোবটি উন্মুক্ত করতে পারব। তাই হাবিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশবাসীর নিকট সহযোগীতা চেয়েছেন।

আপনার সোস্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

© ২০২০-২২ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | এনপিনিউজ৭১.কম
Developed BY Rafi It Solution